আমরা কাকে বিশ্বাস করবো?



আমরা যারা সোজাসাপটা সাধারণ মানুষ আমরা কিন্তুু সমাজের শিক্ষিত মানুষগুলোকে খুব তারাতাড়ি বিশ্বাস করে ফেলি এবং তাদেরকে যথেষ্ট সম্মান করি ভালো শিক্ষিত বন্ধু মনে করি কিন্তু সেই শিক্ষিত মানুষগুলো বন্ধু হয়ে কাছে এসে বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে সাধারণ সোজাসাপটা মানুষগুলোর যে কতবড় ক্ষতি সাধন করতে পারে সেটা নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা ভিষণ কঠিন! গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী২০২০ তারিখ আমার এক প্রিয় শিক্ষিত বন্ধু আমাকে বলে দাদা আপনার মোবাইলটা একটু দিন, আমিও সরল বিশ্বাসে সেই প্রিয় বন্ধুর হাতে আমার মোবাইল ফোনসেটটা দেই উনি বেশ কিছুক্ষণ মোবাইলটা দেখেন পরে আমাকে আমার মোবাইলটা ফেরত দিয়ে দেন। তারপর আমি আমার মোবাইলটা আর ভালকরে লক্ষ করে দেখিনি উনি কি দেখেছেন বা কি করেছেন। ত আজ ১৭ই ফেব্রুয়ারী ২০ তারিখ সকালে হঠাৎ আমার এক স্যার আমার কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ছবি চায়। যা আমার মোবাইলে আগেই ছবি তোলা ছিলো, তাত্ক্ষণিকভাবে আমি আমার মোবাইলটা হাতে নেই এবং মোবাইলের গ্যালারি প্রোফাইলে প্রবেশ করি। প্রবেশ করে দেখি আমার মোবাইলে যত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ছবি ছিলো তার এক দুইটি আছে আর বেশিরভাগ কাগজপত্র এবং ছবি কিছুই নেই। আমরা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আমাদের মোবাইলে কতকিছুই প্রমাণ হিসেবে ছবি তোলা থাকতে পারে। উনি একজন শিক্ষিত মানুষ এবং আমার প্রিয় বন্ধু হয়ে এমন একটা জঘন্যরকম কাজ করবে ভাবতে পারিনি! তাহলে আমরা আর কাকে বন্ধু বান্ধব হিসেবে বিশ্বাস করবো বলতে পারেন??? উনার যদি আমার মোবাইলের কোনকিছুর প্রয়োজন হতো তাহলে আমাকে বলতে পারতো দাদা এই জিনিসটা আমার লাগবে আমাকে দিন আমি যদি তাকে না দিতাম তখন সে আমার সাথে এমনটা করলে মনটাকে বুঝাতে পারতাম। এখন কি যে করি ভেবে পাচ্ছিনা! বিজয় সরকার সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী

Post a Comment

0 Comments