নারায়ণ মল্লিক(নয়ন) শিব কল্প তরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ মানব কল্যাণ কামী ও সংসারত্যাগী একজন সাধক মহাপুরুষ।
বার আউলিয়া ও মুনি ঋষিদের জন্মস্থান পুন্যভূমি চট্টগ্রামস্থ বাঁশখালী উপজেলার নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের লীলা ভূমি জঙ্গল কোকদন্ডীর গভীর জঙ্গলে সাধনার সিদ্ধিলাভ করে তিনি প্রতিষ্টা করলেন সিদ্ধিপাঠ "ঋষিধাম"।
জন্মলগ্ন থেকে ৬৩বছর পর্যন্ত বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা ও লীলায় মানব কল্যাণে ব্রতি থেকে ১৯৬৬সালে তাঁরই প্রতিষ্টান তুলসীধামে দেহত্যাগ করেন।
স্বর্ণযুগের পথ প্রদর্শক জ্যোতিষময় মহাজ্ঞানী শিব কল্প তরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ আসিয়াছিলেন যুগ প্রয়োজনে। এদেশের তীর্থকামী সাধারন মানুষের পক্ষে ভারতে গিযে সাধুদর্শনের মহাপুণ্য অর্জন সম্ভব নয় বিধায় ঋষির আদর্শ আমাদের মাঝে জাগ্রত করার মানসে ভাবী স্বর্ণযুগ দ্রষ্টা গুরুদেব প্রবর্তন করেছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কোকদন্ডী গ্রামে বাংলাদেশের একমাত্র "ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা"
ঋষিধামের প্রতিটি ধুলিকণায় ও তরুলতায় স্বামীজির স্পর্শ, স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে।ঋষিধাম মানে অদ্বৈতভান্ডার, তাই ঋষিধাম সার্বজনীন,ঋষিধাম ঋষিদের,ভক্ত এবং সাধুদের সাধনার স্থান।ঋষিধাম মানুষের মঙ্গলনির্ঝরিনীর উৎস।
ঋষিধাম শুধু বাংলাদেশের নয়,উপমহাদেশের নন্দনীয় আধ্যাত্মিক
প্রতিষ্টান বললেই চলে।যখানে নিত্য লীলারাজ প্রভু অদ্বৈতানন্দজী লীলাসাগরে নিমজ্জিত করেছেন কলির নাম সংকীর্তণ পিপাসু মানবকে ভবসাগর পার করতে, তিনি বলেছেন--
"নাম একমাত্রই পরম গুরু নাম ব্রহ্ম এককথায় ওঁ কার নাম জপে ষড়রিপুর বিকার থেকে মুক্ত হয়ে পঞ্চভূতে গড়া মানবদেহের খাঁচা থেকে বেরিয়ে কোষমুক্ত শিবে রুপান্তরিত হওয়া সম্ভব।
আধ্যাত্ম সাধনার বীণা যন্ত্রে তিনি সংযোজিত করেছিলেন একটি নতুন তন্ত্রী,সেই তন্ত্রী হতে বাজিছে কত বিচিত্র মধুর রাগ,ভূমানন্দের কত মধুর গুন্জন।সেই ঋষিধামের কত উৎসবের আনন্দে, তিনি পুর্ণ করিয়া রাখিতেন কত অফুরাণ রসের পাত্র।তাতে ছিল তাঁর প্রেমের অমেয় অমিয়।
তাঁর অন্তরের দিবাগ্নি শিখা ঋষিধামের রন্ধে রন্ধে বিকীর্ণ করিত শক্তির প্রেরণা,জাগাইয়া তুলিত নব নব আশার তুর্য রব।তাঁর দৈহিক সত্তার তিরোধানে স্থুল চক্ষে তাঁকে না দেখিলেও তিনি তাঁর চিন্ময় রাজ্য হতে আমাদের সকলের জন্যই মঙ্গলবার্তা প্রেরণ করে যাচ্ছে।
শিব কল্পতরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজের প্রণীত গ্রন্থরাজি মহাসমুদ্রের মত ব্যন্জনায় সুগভীর।তিনি সাক্ষাত ব্রহ্মদর্শনের অভিজ্ঞতাই যেন বর্ণনা করেছেন তাঁর "দশমহাবিদ্যায়"।তাঁর প্রণীত গীতায় গুরুশীষ্য,শিবলিঙ্গতত্ত্ব,শালগ্রাম তত্ত্ব,ধর্ম প্রবেশিকা,উপসনা পদ্ধতি ইত্যাদি গ্রন্থ সাধনজগতের অমূল্য সম্পদ।
জয় হোক শিবকল্পতরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ্জীর।তিনি অমৃত কুম্ভের নিত্য অতিথি।তিনিই পূর্ণ কুম্ভ।মানবতার নিত্য সাধক।গরুর মাংসকে মিষ্টি করার শক্তিধারী ভূমাঋষি অদ্বৈত প্রভু।সার্থক মানব জীবন ধন্য।প্রনাম শতকোটি তোমার শ্রীচরণে,হে অদ্বৈতজী।
জয় গুরু
লেখকঃ---নারায়ণ মল্লিক(নয়ন)
সদস্য সচিব প্রচার উপকমিটি
আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উৎযাপন পরিষদ২০২০.
0 Comments