
পেশায় আইনজীবি মৌসুমী দেবী জানান, ‘প্রথম থেকেই দত্তবাড়িতে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। সে বছর এক ব্রাহ্মণ কন্যাকে পূজা করি, তার পরের বছর অব্রাক্ষণ বাড়ির মেয়ে, ২০১৪ সালে ডোম পরিবারের এক শিশু কন্যা, গতবছর ফের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়েকে কুমারী হিসাবে পূজা করি। বাড়ির সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এবার সিদ্ধান্ত হয় যে দুর্গাপূজায় কোনো জাতপাতের ভেদাভেদ রাখব না আমরা। সেই মতে এবছর মুসলিম শিশু কন্যাকে পূজো করার সিদ্ধান্ত নেই।’
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে কামারহাটির বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তিনি তার ভাগ্নি- বয়স চার, নাম ফাতেমাকে দিতে রাজি হন। ফাতেমা এখন মামাবাড়িতে ঘুরতে কলকাতায় এসেছে। তাকেই অষ্টমীর দিন বরণ করে নেবে দত্তবাড়ি। তারপর তাকে লাল টুকটুকে বেনারসি, চন্দন, ফুলের মালা দিয়ে দুর্গা প্রতিমার মতো করে সাজিয়ে কুমারী পূজা করা হবে। সে দিনটির দিকেই তাকিয়ে দুই পরিবার।
0 Comments