শ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১২৯তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার ৯ সেপ্টেম্বর পাবনার হিমাইতপুরে দুইদিন ব্যাপী মহোৎসব শুরু হয়েছে, তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ নামক সংগঠনের প্রবর্তক। তিনি ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গ প্রদেশের পাবনা জেলার হিমায়তপুরে জন্মগ্রহণ করেন, যা বর্তমানে বংলাদেশের অন্তর্গত।ঝাড়খন্ডের দেওঘরে মৃত্যুবরণ করেন। মূলতঃ স্বাবলম্বন ও পরনির্ভরশীলতা ত্যাগের দীক্ষা অনুকূলচন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রমের আদর্শ। তাঁর ভক্তদের সহযোগিতায় তপোবন বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, মূদ্রণ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি স্থাপন করেন ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।

সত্যানুসরণ শ্রীশ্রী ঠাকর দ্বারা রচিত একটি গ্রন্থ। শ্রীশ্রীঠাকুরের ঘনিষ্ঠ
সহযোগী অতুলচন্দ্র ভট্টাচার্য কর্মসুত্রে পাবনা ছেড়ে বাজিতপুর যাওয়ার
আগের রাত্রে শ্রীশ্রীঠাকুরকে আবেদন করেন, যদি উনি কিছু সনাতন আদর্শ,
চিন্তাধারা লিপিবদ্ধ করেন। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীশ্রীঠাকুর ২২ বছর বয়সে
এক রাত্রে লিপিবদ্ধ করেন তাঁর গ্রন্থ সত্যানুসরণ। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে এই
গ্রন্থটিকে দ্য পার্স্যুট অব ট্রুথ The Pursuit of Truth নামে ইংরেজী
ভাষায় অনুবাদ করা হয়।

অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর প্রায় ৪৬টি পুস্তক রচনা করেন। এগুলোতে ধর্মশিক্ষা, সমাজ প্রভৃতি বিষয়ে আদর্শ ও উপদেশসমূহ বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-সত্যানুসরন, পুণ্যপুথি, অনুশ্রুতি (৬ খন্ড), চলার সাথী, শাশ্বতী (৩ খন্ড), বিবাহ বিধায়না, সমাজ সন্দীপন, যতি অভিধর্ম।
আজ থেকে ১২৯ বছর আগে পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকুলচন্দ্র পাবনার এই হিমাইতপুরে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এখানেই তিনি বড় হয়েছেন, ভাল বেসেছেন মানুষকে। এখানেই তিনি সাম্য ও অসাম্প্রদায়িকতার বানী দিয়ে সব ধর্ম বর্ন ও মানুষের মন জয় করেন। এই মহামানবের জন্মস্থানে তার ভক্তরা ছুটে আসে প্রতিবছর এই উৎসবে।

হিমাইতপুর সৎসঙ্গের ঋত্বিক পরিষদের সদস্য ননীগোপাল দেবনাথ জানান, করো নির্ভর, হও নির্ভয় শ্রীশ্রী ঠাকুরের বানীকে ধারন করে, ভয়কে জয় করে এবারের উৎসব উদযাপন করছি আমরা।
পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর জানান, এই উৎসবকে আনন্দঘন করতে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
0 Comments