
মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ওই চার গৃহবধূর শাশুড়ি অসুস্থই ছিলেন। অশীতিপর
বৃদ্ধা দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা গিয়েছেন সোমবার। পরিবারে নেমে আসে শোকের
ছায়া। মাতৃহারা চার ছেলের যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। শেষযাত্রার তোড়জোড়
করারও ক্ষমতা নেই তাঁদের। তখন চোখের জল মুছতে মুছতে এগিয়ে আসেন চার
গৃহবধূ। তাঁরাই মৃত শাশুড়ির শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করতে শুরু করেন।
নিয়ে আসা হয় খাট। ফুল, মালায় সাজিয়ে তোলা হয় বৃদ্ধার দেহ।
পাড়া-প্রতিবেশীদের সাহায্যে ওই চার গৃহবধূর শাশুড়ির দেহ তোলা হয় খাটে।
কিন্তু কাঁধে করে ওই বৃদ্ধার মরদেহ শ্মশানে নিয়ে যাবেন কে? ছেলেরা যে শোকে
মূহ্যমান। মায়ের দেহ জড়িয়ে ধরে প্রাণপণে কেঁদে চলেছেন তাঁরা। তবে গৃহবধূরা
বলেন, তাঁরাই শ্মশানে কাঁধে করে নিয়ে যাবেন শাশুড়িকে। শুনে হতবাক প্রায়
সকলেই। শোকের মাঝে যা শুনেছেন তা সত্যি কি না, তা-ও বুঝতে পারেননি মাতৃহারা
ছেলেরা।
তবে গৃহবধূদের সিদ্ধান্তে কেউই বাধা দেননি। এরপর কাঁধে খাট নিয়ে শ্মশানের
পথে এগিয়ে চললেন চার গৃহবধূ। এই বিরল দৃশ্য নজর কেড়েছে প্রায় সকলের।
পাড়া-প্রতিবেশী প্রত্যেকেই প্রশংসা করেন ওই চারজনের। এলাকা জুড়ে ধন্য
ধন্য পড়ে গিয়েছে তাঁদের। শাশুড়ি-বউমার দ্বৈরথের বদনাম ঘোচানো ব্যতিক্রমী
ছবি ছড়িয়ে পড়ুক চতুর্দিকে, এমনই প্রার্থনা করছেন
আত্মীয়-পরিজন-প্রতিবেশীরা।
0 Comments