সংবিধানকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত করতে হবে, বললেন রানা দাশগুপ্ত



রফিক আহমেদ : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘সংবিধানকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করে এবং রাষ্ট্র ধর্মকে রেখে কেউ বলতে পারেন না যে, আপনারা নিজেদেরকে সংখ্যালঘু হিসাবে ভাববেন না। আমরা সংখ্যার দিক থেকে লঘু হতে পারি।’ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংখ্যালঘুতে পরিণত করা হয়েছে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কাজ। কিন্তু রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু হিসাবে বেঁচে থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। সব ধর্মকেই রাষ্ট্রধর্মের সন্মান দিন। অথবা সংবিধানকে বাহাত্তরের মৌল আদলে ফিরিয়ে নিয়ে যান। তখনই বলা যাবে, বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নেই।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় বা রাজনৈতিকভাবে আমরা প্রতারিত হতে চাই না। বিভেদ ও চোরাবালির গলিতে নিক্ষেপ করে যদি কেউ মনে করে থাকেন, সংখ্যালঘুদের তার অধিকার থেকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়া যাবে- এমনটা কোনো রাজনৈতিক দলের ভাবার অবকাশ নেই।’
মানববন্ধনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, মনীন্দ্র কুমার নাথ, ভদন্ত সুনন্দপ্রিয় মহাথেরো ও বাসুদেব ধর প্রমুখ অংশ নেন ।
মানবন্ধনের সমাবেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দাবি জানান রানা দাশগুপ্ত। এর পাশাপাশি সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের অঙ্গীকার করারও দাবি জানান তিনি।
অন্য বক্তারা বলেন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকতা সত্ত্বেও সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলা, তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট লুট, জমি জবরদখল, নারী অপহরণ ও নির্যাতন আজও অব্যহতভাবে চলছে। ভদন্ত অমৃতাদন্দ ভিক্ষু হত্যা, গোবিন্দগঞ্জের সাওতালদের ফের হামলা-হয়রানি, পাহাড়ে-সমতলে অব্যহত সাম্প্রদায়িক উস্কানি, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আটটি দোকান লুটের ঘটনা তুলে ধরে নেতারা অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়নে প্রশাসনের গড়িমসি ও অনীহায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, এ কারণে জনমনে প্রধানমন্ত্রী সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

Post a Comment

0 Comments