জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়(জবি) প্রতিষ্ঠার তের বছর পর প্রথমবারের মত শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির প্রতিনিধি দল উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করার সময় দূর্গা পূজা আয়োজনের জন্য নির্দেশ দেন । এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পাল, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পূজা আয়োজনের কথাটি নিশ্চিত করেছেন পূজা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পাল । তিনি বলেন, আমরা এবার প্রথম দূর্গাপূজা আয়োজন করছি । আমরা প্রতিনিয়ত মিটিং করছি, প্ল্যান করছি । আমরা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে । আমাদের হাতে সময় খুব কম । পূজা আয়োজন জন্য ডেকোরেশন, প্রতিমা বানানো, পুরোহিত, সাউন্ড সিস্টমসহ যাবতীয় কাজ করতে হবে । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু শিক্ষার্থীদের তিনটি সংগঠন আছে । তাদের সাথেও কথা বলতে হবে । তিনি আরো বলেন, আমরা এরই মধ্যে ভিসি স্যারের কাছে পূজা আয়োজনের জন্য একটা বাজেট দিয়েছি । ভিসি স্যার আমাদেরকেও সহযোগীতা করার জন্য বলেছেন । আমরা নিজেরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি ।
পূজা আয়োজনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও বর্তমান ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিউটন হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন পরে আমরা
নিজ ক্যাম্পাসে দূর্গাপূজা করতে পারবো এটাই বড় পাওয়া । আমরা ভিসি স্যারকে আগেও পূজার বিষয়ে বলেছিলাম । তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ এবং সবসময় পজিটিভ চিন্তা করেন । উনার নির্দেশনা এবং সহযোগীতায় আমরা এবার দূর্গাপূজার আয়োজন করতে যাচ্ছি ।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে “দুর্গাষষ্ঠী”, “মহাসপ্তমী”, “মহাষ্টমী”, “মহানবমী” ও “বিজয়াদশমী” নামে পরিচিত।এবারে অক্টবর মাসের ৩ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত দুর্গা পূজার যথাক্রমে “দুর্গাষষ্ঠী”, “মহাসপ্তমী”, “মহাষ্টমী”, “মহানবমী” ও “বিজয়াদশমী” পালন করা হবে ।
0 Comments