প্রোগ্রামিং অনুযায়ী, চাঁদের মাটিতে নামার সময়ে বিক্রম ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে শূন্যের দিকে নিয়ে যাবে এবং নিজের আকর্ষণ দিয়ে বিক্রমকে নিজের দিকে টেনে নেবে চাঁদ। তা একেবারে পাখির পালকের মতো অবতরণ করবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। কিন্তু শুক্রবার মাঝরাতে আচমকা তাল কেটে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শেষ মুহূর্তে বিক্রম নিজের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এবং নির্ধারিত সময়ের আগে চন্দ্রপৃষ্ঠে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই তার অ্যান্টেনাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সে কারণেই শেষ মুহূর্তে তার সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে অরবিটারের পাঠানো যে ছবি দেখা যাচ্ছে, তা থেকে স্পষ্ট যে বিক্রম কাজের মতো অবস্থায় নেই। ক্ষতি খানিকটা সারিয়ে উঠে তবে কাজ শুরু করতে পারবে।
৬ সেপ্টেম্বর মাঝরাতে চাঁদের পিঠে নামতে গিয়েই হারিয়ে গিয়েছিল বিক্রম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে। ইসরোর কন্ট্রোল রুমে লাইভ চলাকালীন সেই খবর দেখে মুষড়ে পড়ে গোটা দেশ। অরবিটারটি অক্ষত থাকায় তা যে বিক্রমের হদিশ দিতে পারবে, সেই আশা ছিলই। তাই প্রাথমিকভাবে হতাশ হয়ে পড়লেও, আশা ছাড়েননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার দিনভর কন্ট্রোল রুমে বসে অরবিটারের দিকে চোখ রেখেছিলেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছিল, দিন দুই পর অরবিটার ফিরলে বিক্রমের খোঁজ মিলবে। সে নিরাপদে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে নাকি ভেঙে পড়েছে, তা বুঝতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
আশা যে মিথ্যে নয়, রবিবার দুপুরে তা বোঝা গেল। খোঁজ মিলল বিক্রমের। অরবিটারের ক্যামেরায় তোলা ছবিতে দেখা গেল, চন্দ্রপৃষ্ঠেই রয়েছে ল্যান্ডারটি। তবে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি।
0 Comments