হালুয়াঘাটে সংখ্যালঘু পরিবারকে উচ্ছেদ করতে সন্ত্রাসী হামলা, আহত-১



জোটন চন্দ্র ঘোষ,হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সংখ্যালঘু এক পরিবারকে ভিটে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও এক জনকে আহত করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অসহায় ক্ষিতিশ চন্দ্র ক্ষত্রিয় একই গ্রামের আব্দুল লতিফ আকন্দ গংদের ৯ জনের নাম উল্লেখ করে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সরেজমিনে জানা যায়, হালুয়াঘাট উপজেলার স্বদেশী ইউনিয়নের স্বদেশী গ্রামের মৃত অমর চন্দ্র ক্ষত্রিয় এর পুত্র ক্ষিতিশ চন্দ্র ক্ষত্রিয় স্ত্রী সন্তান নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত সরকারী খাস জমিতে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি মৃত হাজী আব্দুল ওয়াহাব আকন্দ এর পুত্র আব্দুল লতিফ আকন্দ গংরা ক্ষিতিশ চন্দ্র ক্ষত্রিয় এর বসতবাড়ির ৪১ শতাংশ জমি নিজেদের দাবী করিয়া ঘরবাড়ি ভেঙ্গে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন। কিন্ত ক্ষিতিশ চন্দ্র বসতবাড়ি ছেড়ে না যাওয়ায় গত ২৪ আগষ্ট দিবাগত রাতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজি¦ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাড়ি ঘর ভাংচুর করেন।এ সময় ক্ষিতিশ চন্দ্র এর পুত্র ছোট আবু ওরফে গবাকে কুপিয়ে আহত করেন। ভুক্তভোগীদের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত গবাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত গবা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকিল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ক্ষিতিশ চন্দ্র ক্ষত্রিয় সাংবাদিকদের বলেন, মিথ্যা মালিকানা দাবী করিয়া তাদেরকে ভিটে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে তার পুত্রকে রক্তাক্ত জখম করেন। বাঁশ বেতের আসবাবপত্র তৈরি করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তিনি। সন্ত্রাসী আব্দুল লতিফ গংরা তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য প্রতিনিয়ত মামলা,হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিচার দাবী করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এ বিষয়ে আব্দুল লতিফ আকন্দ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি জেলা শহরে অবস্থান করছেন। উক্ত জমিটি নিজের বলে দাবী করেন। পাশাপাশি জমিটি উদ্ধারের জন্য মামলা দায়ের করেছেন। বিস্তারিত জানতে হলে পরে যোগাযোগ করেন বলে মুঠোফোনের লাইনটি কেটে দেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ সিদ্দিকী ইরাদ বলেন, তিনি ঘটনাটি মিমাংসা করার জন্য একাদিক বার চেষ্টা করেছেন। কিন্ত লতিফ আকন্দ গংরা ডাকে সাড়া দেননি। অসহায় হিন্দু পরিবারটিকে ভিটেমাটি ছাড়া করতেই সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, তিনি অভিযোগটি পেয়েছেন। তদন্ত পুর্বক প্রযোজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

Post a Comment

0 Comments